নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুনিরুজ্জমান বলেছেন, মানুষের হয়রানি রোধে জমির ডিজিটাল জরিপ করা হচ্ছে। এখন থেকে জমি এজমালি আর থাকবেনা। জমি হবে এখন একক মালিকানায়। ভূমি বিরোধ বিষয়টিকে জিরো পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজার চলমান ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম সম্পর্কে ভূমি মালিক ও অংশীদারদের সাথে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জরিপ শেষ হলে পূঙ্খানুপুঙ্খ ম্যাপ পাওয়া যাবে, যা অনলাইনেও থাকবে। যেখানে এনআইডি, ছবি, স্থায়ী ঠিকানা সংযুক্ত থাকবে। প্রত্যেক ৬ মাস পর পর এটি আপডেট হবে। এর মাধ্যমে জমি নিয়ে মামলা জটিলতা দূর হবে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন দিয়ারা সেটেলমেন্ট অপারেশনের সেটেলমেন্ট অফিসার মো. নাজমুস শোয়েব। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন, আগের ভূমি আইনের জটিলতার কারণে তার দাদার আমলের মামলা এখনো তিনি টেনে চলেছেন। ডিজিটাল জরিপের পরেও একই অবস্থা থেকে গেলে কি লাভ হবে? তাই হয়রানি নিরসন করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হওয়া দরকার। তাছাড়া দেশের কোথাও জমি বিক্রির সময় অনুমতির প্রয়োজন না হলেও কক্সবাজারে জমি বেচা কেনার সময় অনুমতি নিতে হয়। এটি একটি ভোগান্তি, যা দূর করা দরকার।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সদর জামায়াতের আমীর খোরশেদ আলম আনছারী, সেক্রেটারি আজিজুর রহমান, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শহীদুল আলম বাহাদুর, এড. নুরুল আলম, এড, আবু ছিদ্দিক ওসমানী ও সাংবাদিক শামসুল হক শারেক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।